মরহুম এস,এম মাহের উদ্দিনঃ
বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারি জনাব এস এম মাহের উদ্দিন কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের মঘিয়া গ্রমেজন্ম গ্রহন করেন।তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে কর্ম জিবন শুরু করলে সমাজ সেবার লক্ষে চাকুরী ছেরে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুনামের সংগে মঘিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি তদানিন্তন বাগেরহাট মহাকুমা খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ার ম্যান নির্বাচিত হন।তিনি এক জন সও নিষ্ঠা বান সাংবাদিক হিসাবে দৈনিক আজাদ পত্রিকা ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন।তিনি তার পিতার নামে হজী করিম উদ্দিন পাঠাগার স্থাপন করেন এবং দরিদ্র ছাত্ছাত্রীরা এখান থেকে বই নিয়ে পড়ার সুযোগ পেত।তিনি বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের আজিবন সদস্য বলে জানা যায়।
প্রয়াত রাধা রামন শিকদারঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে ১৯৪৮ খ্রিষ্ঠাব্দে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা মৃতঃযোগেন্দ্র নাথ শিকদার। বাবু রাধারামন শিকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাষ্টার্স ডিগ্রীকরার পর বিভিন্ন সেবা মূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং একটানা চার বার মঘিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যন হিসাবে নির্বাচিত হন।শিক্ষা মনস্ক এই ব্যক্তি আন্ধারমানিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব হ্রহন করেনএবং তার বলিষ্ঠ নির্দেশনায় আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটিপরিবেশসুন্দরবিদ্যালয়হিসাবেপরিচিতিলাভকরে।তিনি রাজলক্ষী মহাবিদ্যালয়ের অধক্ষ হিসাবে কিছু দিন
দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ২০১০ সালে মৃত্যুবরন করেন।
সমীর কান্তি সিকদারঃ
সমীর কান্তি সিকদার মঘিয়া উইনিয়নের বড় আন্ধারমানিক গ্রমে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতাহরষিত চন্দ্র সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন।তার মাতার নাম কুসুম রানী সিকদার। সমীর কান্তি সিকদার কৃতিত্ত্বের সংগে শিক্ষা জীবন শেষ করেন।তিনি বর্তমানে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে তিনি আন্ধরমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবংতার শিক্ষ পরিচালনা ও সার্বি সাহায্য সহযোগীতায় বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রসংশানীয় অবদান রাখছেন।
প্রফেসর সুকন্ঠ কুমার মন্ডলঃ
সুকন্ঠ কুমার মন্ডল মঘিয়া ইউনিয়নের বড় আন্ধারমানিক গ্রামের মন্ডল পরিবারে ১৯৫৪ সালে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডল একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন।তার মাতা কুসুম কুমারি মন্ডল একজন বিদুষী মহিলা।নিজ গ্রামের আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৭১ সালে কৃতিত্বের সাথে এস,এস,সি ও এইস,এস,সি পাস করারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।তিনি বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী সরকারীপি,সিকলেজেসুনামেরসংগেঅধ্যেক্ষেরদায়িত্বপালনকরছেন।তিনিরাষ্ঠ্রবিজ্ঞানবিষয়ের পাঠ্য বই লিখছেন।
পরিতোষ হালদারঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া উইনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ মতিলাল হালদারের জ্যেষ্ঠ পুত্র পরিতোষ হালদার একজন বিশিষ্ট কবি এবং সাংস্কৃতি সেবী। তিনি আগামী যদ্ধের তারিখ(১৯৯৩),শব্দ জলের ছবি(১৯৯৫),উত্তর বয়ান প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। তারপ্রকাশিতব্য উপন্যাস সমূহের মধ্যে গাঙ পরানও নৈশব্দের জলতৃষ্ণা শীঘ্রই আত্ম প্রকাশ করতে যাচ্ছে।এছারা তিনি এসিয়াটিকে সোসাইটি কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে অনেক গবেষনা ধর্মী কাজ লিখছেন।
জনাবঅধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম খোকনঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের মঘিয়া গ্রামে ১৯৬১ সালে জনাব অধ্যক্ষসাইফুল ইসলাম জন্ম গ্রহন করেন।তিনি মরহুম মোদাচ্ছের আলীর কনিষ্ট পুত্র।কচুয়া উপজেলার সন্নিকটে এক মনোরম পরিবেশে তিনি শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করে নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নবইদগন্তের উন্মোচন করেন।কলেজটিতে অনার্স কোর্স করে তিনি নারীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করেছেণ।
ক্রীড়া ও সাংস্কতিক অঙ্গনেও তার প্রাপ্ত পদ চারনা লক্ষ করা যায়।
অনিল কুমার ঘরামীঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের আন্ধরমানিক গ্রামের কৃতি সন্তান অনিল কুমার ঘরামী তার নিজের গ্রামে আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেএলাকার নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।অবসর প্রাপ্ত মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক অনিল চন্দ্র ঘরামী এখনও শিক্ষা বিস্তারে নিবেদিত আছেন।বিদ্যালয় নির্মানের জন্য তিনি ভূমি দান করেন।
প্রয়াত নিত্যান্দ মিস্ত্রি(মোক্তার বাবু):
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের কৃতি সন্তান প্রয়াত নিত্যান্দ মিস্ত্রী ওরফেমোক্তার বাবু এলাকার উন্নয়নে আত্ন নিবেদিত ছিলেন। বৃটিশ আমলের এই শিক্ষিত ব্যক্তি আইন ব্যবসায়যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেন।এলাকার পানীয় জলের অভাব মোচনের জন্য তিনি এলাকায় একাধিক বিশাল দিঘি খনন করেন যা আজও স্থানীয়দের পানীয় জলের অভাব মোচন করছে।আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনেও তিনি অগ্রণীর ভূমিকা পালন করেন।
জনাব মরহুম আলহাজ্ব মাওঃ মোজাম্মেল হকঃ
কচুয়া উপজেরার মঘিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রন্ত পরিবারে জনাব আলহাজ্ব মাওঃ মোজাম্মেল হক ১৯৪১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম আলহাজ্ব করিম উদ্দিন।অত্র অলে দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসার কল্পে তিনি ১৯৬৮ খ্রিঃ মঘিয়া ছালেহিয়া আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেন।এছারা তিনি এতিম খানা ও লিল্লহ্ বোর্ডিং স্থাপন করে এতিম ও দরিদ্র ছাত্রদের সুশিক্ষারব্যবস্থা করেন।মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন কালে তিনি তার বেতনের অর্থ অসহায় ও দরিদ্র ছাত্রদের কল্যানে ব্যয় করতেন বরে জানা যায়।২০০৬ সালে তিনি মৃত্যু বরন করেন।তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য তার সযোগ্য জামাতা অধ্যক্ষ মাওঃ ইদ্রিস আলী মল্লিকের উপর অত্র মাদ্রাসার দায়িত্ব অর্পন করেন।
প্রয়াত ডাঃ অম্বিকা চরন দত্তঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ অম্বিকা চরন দত্ত এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের কল্যান কামনায় কচুয়া উপকন্ঠে খলিশাখালী নামক গ্রামে তার পিতার নামে ১৩৩৯ বাংলা সালের ১১ই বৈশাখঅভয়া চরন দত্ত দাতব্য চিকিতসালয়স্থাপন করে জনগনের অশেষ কল্যান সাধন করে গেছেন।বলা বাহুল্য, কচুয়া হাসপাতাল স্থাপনের পূর্ব পর্যন্ত এতদাঞ্চলের লোক এই দাতব্য চিকিতসালয় থেকে বিনামূল্যে স্বস্থ সেবা পেত।মঘিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও হ্যালিপ্যাড নির্মানের জায়গা তারাই দান করেছেন বলে জানা যায়।
মরহুম শেখ আব্দুল জলিলঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সহবতকাঠী গ্রামের কৃতি সন্তান মরহুম সেখ আব্দুল জলিল মঘিয়া গ্রামের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনে অগ্রনির ভূমিকা পালন করেন। ঐতিহ্যবাহী সি,এস,পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কালে তিনি ছোটদেরজন্য ইংরেজী হাতের ডড়ফ ইড়ড়শ লেখা প্রকাশ করেন।দেশ প্রেমিক এই মহত ব্যক্তি ১৯৭৩ খ্রিঃ ২৬ শে মার্চ দুস্কৃতকারীদের হাতে নিহত হন।এলাকার জনগন তার স্মৃতিকে চির জাগরুক রাখার জন্য তার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিকে সহীদ আব্দতুল জলিল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে উতস্বর্গ করেন।
ডাঃ শওকত হোসেনঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের মঘিযা গ্রামে ১৯৭০ সালে ডাঃ শাওকত হোসেন জন্ম গ্রহন করেন। কৃতিত্বের সংঙ্গে শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি অধ্যপনা পেশায় তিনি যোগদান করেন।দর্শন শাস্ত্রের উপর তার রচিত গ্রন্থ সমূহ পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে।শিক্ষা বিস্তারে নিবেদিত প্রান ডাঃ শওকত হোসেন এলাকার দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার ব্যপারে সাহায্যে ও সহযোগিতা দান করেছেন।তার পিতা অব্দুর রহমান মঘিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বচিত হন।ডাঃ শওকত হোসেন বর্তমানে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালযে সুনামের সংগে অধ্যাপনা করছেন।
জনাব মাওলানা আঃ সামাদঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিযনের সন্মানকাঠী গ্রামের জনাব মাওলনা আঃ সামাদ একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজ গ্রমে সন্মানকাঠী দারুল কুরান হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের গজালিযা গ্রামে গজালিয়া রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসানামে দুটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মাদ্রাসা দুটির সুপর জনাব মাওলনা মনিরুজ্জামান ও জনাব মোঃ আঃ কুদ্দুস তথ্য প্রদান করছেন।জনাব মাওলানা আঃসামাদ বর্তমানে মঘিয়ার সিনিয়ার মাদ্রাসার উপধ্যাক্ষ হিসাবে কর্মরত আছেন।
জনাব মাওলানা আলতাব হুসাইনঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের চরসোনাকুড় গ্রামের কৃতি সন্তান জনাব মাওলানা আলতাব হুসাইন নিজ গ্রমে ১৯৮০ খ্রিঃ চরসোনাকুড় আলিম মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।জনাব মাওলানা আলতাব হুসাইন বর্তমানে টেংরাখালী হোসাইনিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত আছেন।
জনাব মাওলানা আফতাব উদ্দিনঃ
কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সোনাকুর গ্রামের কৃতি সন্তান জনাব মাওলানা আফতাব উদ্দিন এলার নারীদের ইসলামী শিক্ষায় আলকিত করার মানসে নিজ গ্রামে ১৯৮৩ খ্রিঃ সোনাকুড় বালিকা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার সুপার হিসাবে বতর্মানে মোঃআঃ আলী দায়িত্ব পালন করছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS